কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্নভাবে কক্সবাজার জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। চকরিয়া ও পেকুয়ায় উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাররা পছন্দের প্রার্থীদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ২টা পর্যন্ত ৫টি ওয়ার্ডে ভোট দেন জনপ্রতিনিধিরা।
এদিকে নির্বাচিতরা হলেন, ৫নং ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগ মনোনীত জেলা আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক কমরুউদ্দিন আহমেদ (হাতি) ৩০ভোট তার নিকটতম আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী মো: বদরুদ্দোজা (ঘুড়ি) ২৫ভোট পেয়েছেন। ৬নং ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগ মনোনীত আবু তৈয়ব (টিউবওয়েল) ৫৩ভোট তার নিকটতম আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী আবদুর রহিম (তালা) ২৪ভোট পেয়েছেন। ৭নং ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী জাহেদুল ইসলাম লিটু (তালা) ৩৭ভোট তার নিকটতম আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী জাহাঙ্গীর আলম (অটোরিক্সা) ৩০ভোট পেয়েছেন। ৮নং ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী অধ্যাপক সোলতান আহমদ (টিউবওয়েল) ১৭ভোট তার নিকটতম আওয়ামীলীগ মনোনীত মোক্তার আহমদ চৌধুরী (তালা) পেয়েছেন ১৫ভোট। এছাড়াও জাতীয় পার্টি (এরশাদ) সমর্থিত সংরক্ষিত ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডে নারী আসনে আসমাউল হোসনা (ফুটবল) ও ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডে রেহেনা খানম রাহু (ফুটবল) নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচন অফিস সূত্র জানা যায়, চকরিয়া ও পেকুয়ার ৫টি ভোট কেন্দ্রে কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। উত্তর বরইতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চকরিয়া ডিগ্রী কলেজ, ডুলাহাজারা উচ্চ বিদ্যালয়, ইলিশিয়া জমিলা বেগম উচ্চ বিদ্যালয় ও পেকুয়া উপজেলা পরিষদ ভোট কেন্দ্রে বিপুল পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত ছিলেন। পাশাপাশি ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে টহলে ছিলো ভ্রাম্যমান আদালত। জেলা পরিষদে ২০টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৫টি সাধারণ সদস্য ও ৫টি সংরক্ষিত সদস্য পদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরমধ্যে চকরিয়ায় ৪টি ও পেকুয়ায় ১টি ওয়ার্ডে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। পেকুয়ার ১টি ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদের নির্বাচন উচ্চ আদালত স্থগিত করেছে। সেখানে চেয়ারম্যান ও সংরক্ষতি সদস্য পদে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন জনপ্রনিধিরা। ##
পাঠকের মতামত: